হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ক্লাস শেষে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভলিবল খেলছিলো। পরে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা খেলতে নামলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পানি খেতে মাঠ ছাড়ে। এ সময় শরীরচর্চা শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল ‘কেন মাঠ ছেড়ে এলে’ এই অভিযোগে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিসান হাবিব মুন্নাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে মুন্না গুরুতর আহত হয়। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে আহত শিক্ষার্থী মুন্না বলেন, “আমরা খেলা শেষ করে বড় ভাইয়েরা নামলে পানি খেতে গিয়েছিলাম। কিন্তু স্যার বিনা কারণে আমাকে মারধর করেছেন।”
এলাকার একাধিক অভিভাবক জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থীকে মারধর করতে পারেন না। প্রিন্সিপাল ও অভিভাবকদের না জানিয়ে শিক্ষক কেন এমন কাজ করলেন—তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
আহত শিক্ষার্থীর অভিভাবক লোকমান হাবিব বলেন, “আমার ছেলে যদি কোনো অপরাধ করতো, আমি মেনে নিতাম। কিন্তু সে নির্দোষ। প্রিন্সিপাল আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন।”
প্রিন্সিপাল জাকির হোসেন কামাল বলেন, “আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। রবিবার এসে বিষয়টি দেখবো।”
এ ঘটনায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসী দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।