মতলব উত্তর প্রতিনিধি:চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি প্রজ্ঞাপনে নির্ধারিত বিধান উপেক্ষা করে অনেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ পাওয়ায় শিক্ষা মহলে ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, জুলাই-আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূর্ববর্তী ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করে এডহক কমিটির মাধ্যমে পরিচালনার নির্দেশনা দেয় সরকার। প্রায় ১৪ মাস পর অক্টোবর মাসে এসে নিয়মিত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ ও তফসিল ঘোষণা করা হয়।
সরকারি প্রজ্ঞাপনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের অনুরোধ পাওয়ার পর সর্বোচ্চ ৭ কর্মদিবসের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা জেলা প্রশাসক একজন প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তাকে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেবেন। কিন্তু মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচআনী উচ্চ বিদ্যালয় ও এখলাছপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাচনে এই বিধান মানা হয়নি।
গত ৯ অক্টোবর এই দুই প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি রাজস্ববিহীন প্রকল্পভুক্ত কর্মকর্তা, অর্থাৎ তিনি প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা নন। তবুও তাকে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের মতে, এই ধরনের অনিয়ম ভবিষ্যতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করবে।
এ বিষয়ে একাডেমিক সুপারভাইজার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি বেতনগ্রেড অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের যোগ্য, তাই প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, এটা সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূত। একাডেমিক সুপারভাইজার পদটি প্রকল্পভিত্তিক এবং রাজস্ববিহীন বেতন কাঠামোর আওতাধীন। যিনি নিয়োগ দিয়েছেন, তাকে জবাব দিতে হবে কেন ও কিভাবে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে আমাকে জানানো হয়েছে যে, নিয়ম অনুযায়ী তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারেন। তবে যদি এটা বিধিবহির্ভূত হয়ে থাকে, তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।