নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো ও প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন। এখন এই সনদের আইনিভিত্তি দিতে হবে। এইটা আমাদের মুল দাবি। সনদ স্বাক্ষরের পরে যদি এইভাবে পড়ে থাকে, তাহলে এটার দুই পয়সার মুল্য নাই। আইনিভিত্তির জন্যে সংবিধানের চেয়েও শক্তিশালী মেগনেট হচ্ছে গনভোট। তাই আইনগত ভিত্তি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের মধ্যে গনভোট আয়োজন করতে হবে।
আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে চাঁদপুর আল-আমিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখা আয়োজিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ‘পিআর পদ্ধতি’র মাধ্যমে এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই, যার মাধ্যমে দেশে প্রকৃত বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এই পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হলো কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি ও একদলীয় আধিপত্যের অবসান ঘটানো।
এ টি এম মাসুম বলেন, পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে সমাজের শিক্ষিত, মার্জিত ও যোগ্য ব্যক্তিরা নেতৃত্বে আসার সুযোগ পাবেন। ছোট রাজনৈতিক দলগুলোও ন্যায্যভাবে মূল্যায়িত হবে। তাদের মতামত জাতীয় রাজনীতিতে প্রতিফলিত হবে। নির্বাচনের দিন দলীয় আধিপত্য, কালো টাকার প্রভাব ও কেন্দ্র দখলের মতো অন্যায় কর্মকাণ্ডের অবসান ঘটবে। যারা গত পঞ্চাশ বছর ধরে ভোট ডাকাতি করে জনগণের আমানতের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তারাই এখন এই পদ্ধতির বিরোধিতা করছেন।
এই নেতা বলেন, তারা ভালো করেই জানেন, পিআর পদ্ধতি চালু হলে তাদের একক আধিপত্য টিকবে না। তবে সাধারণ ভোটারদের জন্য এটি কোনো জটিল পদ্ধতি নয় বরং এতে ভোটের মূল্য ও জনগণের মতামত সঠিকভাবে প্রতিফলিত হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা এমন একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই, যেখানে সব দল ও মানুষ মিলেমিশে দেশ গঠনে অংশ নিতে পারবে। পিআর পদ্ধতিই পারে বাংলাদেশকে একটি সুশাসনভিত্তিক, অংশগ্রহণমূলক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চল টিম সদস্য কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম।
সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও চাঁদপুর জেলা আমির মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. শাহাজান মিয়ার সঞ্চালনায় সম্মেলনে দারসুল কুরআন পেশ করেন মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী।
জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবুল হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, হারুনুর রশীদ, শহর আমির অ্যাডভোকেট শাহজাহান খান, সদর আমির মাওলানা আফসার উদ্দিন মিয়াজী, সেক্রেটারি মুহাম্ম জুবায়ের হোসেন শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. সবুজ খানসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে সংগঠনের সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন, আত্মসমালোচনা পর্ব ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে কার্যক্রমের সমাপ্তি হয়।
Like this:
Like Loading...
Related